কাজলরেখা পর্ব-০১।Kajalrekha part - 01
 

সকাল বেলা যখন সুর্যটা পুব আকাশে উঁকি দেয়,,,, তখন ঝলমল করে ওঠে নদীর পানি,,, নদীর নাম শ্রীমতী। নদীর পাড় ঘেসেই ছোট্ট একটা গ্রাম। সুন্দর এ গ্রামটি অনেক পুরোনো,,, গ্রামের মানুষ গুলো খুব সহজ সরল। নদীর মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে ই চলে অধিকাংশ মানুষের সংসার।এই গ্রামে বিক্রমকে চিনে না এমন কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। গ্রামের পিছনেই আছে গভীর জঙ্গল।তবে এই গ্রামের মানুষ জঙ্গলে তেমন যায় না।তারা বিশ্বাস করে জঙ্গল পবিত্র স্থান। সেখানে একমাত্র দেবতারা থাকে।আর থাকে সন্নাসিরা । 

বিক্রম ছোটবেলা থেকেই এই গ্রামে থাকে।গ্রামের সবাই তাকে খুব ভালোবাসে।তার কাছে সবাই আপন।তবে সে সবসময় থাকে করিম চাচার বাড়ীতে। চাচার অনেক বয়স হয়েছে,,তাই চাচা নদীতে তেমন যায় না। বিক্রমের জীবন আগে অনেকটা অগোছালো ছিল।করিম চাচার সাথে সে প্রায়‌ই মাছ ধরতো।যখন চাচি মারা যায়, তখন চাচা খুব ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে প্রায়‌ই করিম চাচা অসুস্থ থাকতো , তখন থেকেই বিক্রম করিম চাচার নৌকা নিয়ে একা মাছ ধরে চাচার আর ওর খরচ চালায়।

মাছ বিকেলেই বাজারে নিয়ে যায় বিক্রি করতে।সে একা নয় অনেকেই মাছ বিক্রি করে,,,আর ঐ টাকা দিয়ে বাজার করে রাত করে বাড়ি ফেরে,, অধিকাংশ লোক। বিক্রম‌ও তার ব্যতিক্রম নয়।

সেদিন বাজারে অনেক দেরি হয়ে যায় বিক্রমের.. বাজার থেকে বাড়ি আসতে গেলে সবসময় এক দু জন হলেও রাস্তায় মানুষ থাকে । কিন্তু সেদিন রাস্তা একদম ফাঁকা।বিক্রম ভুতের ভয় তেমন পেতোনা,, তবুও কিছুটা ভয় করছিল ওর‌। অনেক সুনশান গ্রামের রাস্তা দিয়ে ও হাঁটছে। মাঝে মাঝে বাঁশঝাড়ে দু একটা পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে ওকে বিচলিত করছে। মাঝরাস্তা পেরোলেই সামনে পড়ে শশান। শশানের কিছুটা দূরেই একটা পোড়াবাড়ি...

অনেকের মুখে শোনা যায় ঐ বাড়িতে নাকি ভুত থাকে, মনে সাহস নিয়ে ধীরে ধীরে পথ এগুচ্ছে বিক্রম ,হাতে বাজারের ব্যাগ।

তখনকার দিনে টর্স ছিল না।ছিল মাটির কুপি। কিন্তু ওর কাছে আলো বলতে তখন কিছুই নেই,,,

বৃষ্টির দিন,,,তাই খালি পায়েই চলছে বিক্রম। মাঝে মাঝে কোলাব্যাঙের ডাক শোনা যায় দূর থেকে... 

শশানটা ও পেরিয়ে এসেছে। শশান আর পোড়াবাড়ির মাঝখানে ছোট একটু মাঠের মতো। মাঠের কাছে এসেই বিক্রম শুনতে পেল কাছেই কোন একটা মেয়ে কাঁদছে। ভালোভাবে শোনার জন্য বিক্রম দাড়িয়ে গেল। এবার আরো স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে ,কেউ একজন কাঁদছে।কান্নার আওয়াজটা ভেসে আসছে পোড়াবাড়ির ভিতর থেকে। বিক্রমের মনে কৌতুহল জন্ম নিল।এত রাতে কে কাঁদবে,তাও একটা পোড়াবাড়ির মধ্যে।ও ভাবতে লাগলো কি করবে । 
হঠাৎ কান্নার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। বিক্রম ভাবলো হয়তো তার মানের ভুল।এটা ভেবে ও কিছু পথ এগুতেই  স্পষ্ট একটা মেয়ের চিৎকার শুনতে পেল। 

এবার ও আর দেরি করলো না,, তাড়াতাড়ি দৌড়ে পোড়াবাড়ির ভিতরে চলে গেল। 

গিয়ে দেখলো একটা মেয়ে অর্ধোলঙ্গ হয়ে পড়ে আছে ।তার হাত পা বাঁধা।দু তিনটা ছেলে ওর পাশেই বসে হুক্কা টানছে।মেয়েটাকে ও চিনতে পারলো

এযে গফুর শেখের মেয়ে রোজিনা। রোজিনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এই গ্রামের‌ই এক ছেলের সাথে। আড়াল থেকে দেখছিল বিক্রম।বুঝতে পারলো কেন এই মেয়েটাকে ওরা ধরে রেখেছে। কিছুদিন আগে গফুর মিয়ার সাথে এই ছেলেগুলোর কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তাই বলে এত জগন্য কাজ করতে হবে ওদের!!

বিক্রম হাতে একটা লাঠি নিয়ে আড়াল থেকে দৌড়ে ওদের মধ্যে এসে গেল। ওরা এটার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না। ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে লাগলো ওদের। ছেলেগুলো দৌড়ে পালিয়ে গেল।

এবার ও মেয়েটার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিল। মেয়েটা কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। বিক্রম কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে বললো, চলো তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেই।

ওরা দুজন পোড়াবাড়ি থেকে বাইরে এল। কিন্তু বাইরে এসে যা দেখলো তার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না ওরা দুজন। বাইরে রোজিনা বাপ, দুই ভাই আরো গ্রামের কিছু মানুষ দাঁড়ানো আছে‌। রোজিনা দৌড়ে ওর বাবার পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো। মুহুর্তের মধ্যে দুটো ছেলে এসে বিক্রমকে আটকে ফেললো। রোজিনাকে টানতে টানতে ওর বড়ভাই বাড়ি নিয়ে গেল,আর বিক্রমকে নিয়ে গেল গ্রামের বড় বটগাছটার কাছে ‌। 

বিক্রম যত‌ই বলে ও নির্দোষ তত‌ই গ্রামবাসী ওর উপর ক্ষিপ্ত হয়। যে গ্রামবাসী ওর সাথে কখনো ঝাড়ি দিয়ে কথা বলেনি তারা আজ ওকে জুতাপেটা করতে লাগলো। সবাই যে যার মতো করে ওকে কথা শোনাতে লাগলো।এর মধ্যে মাতব্বর চলে এল।চলে এল করিম চাচা। করিম চাচা এসেই পায়ের জুতা খুলে বিক্রমকে মারতে লাগলো। প্রতিটি মানুষ ওর বিরুদ্ধে চলে গেল।গ্রামের মতবর সিদ্ধান্ত নিল ওকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম গুরানো হবে ,তবে এখন নয় কাল। কারন তখন অনেক রাত হয়ে গেছিল। ওকে ওখানে বেঁধে রেখেই ওরা সবাই চলে গেল। একা রয়ে গেল নির্দোষ বিক্রম।

গ্রামের প্রতিটি আনাচে কানাচে ওর সৃতি জড়িয়ে আছে। সবকথা মনে পড়তে লাগলো ওর। খুব কান্না পাচ্ছিল তখন।

এই গ্রামের মানুষের জন্য কত কিছুই না করেছে ও।সবার বিপদে আপদে পাশে থেকেছে। নিজের আগে এই গ্মনেসকাল বেলা যখন সুর্যটা পুব আকাশে উঁকি দেয়,,,, তখন ঝলমল করে ওঠে নদীর পানি,,, নদীর নাম শ্রীমতী। নদীর পাড় ঘেসেই ছোট্ট একটা গ্রাম। সুন্দর এ গ্রামটি অনেক পুরোনো,,, গ্রামের মানুষ গুলো খুব সহজ সরল। নদীর মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে ই চলে অধিকাংশ মানুষের সংসার।এই গ্রামে বিক্রমকে চিনে না এমন কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। গ্রামের পিছনেই আছে গভীর জঙ্গল।তবে এই গ্রামের মানুষ জঙ্গলে তেমন যায় না।তারা বিশ্বাস করে জঙ্গল পবিত্র স্থান। সেখানে একমাত্র দেবতারা থাকে।আর থাকে সন্নাসিরা । 

বিক্রম ছোটবেলা থেকেই এই গ্রামে থাকে।গ্রামের সবাই তাকে খুব ভালোবাসে।তার কাছে সবাই আপন।তবে সে সবসময় থাকে করিম চাচার বাড়ীতে। চাচার অনেক বয়স হয়েছে,,তাই চাচা নদীতে তেমন যায় না। বিক্রমের জীবন আগে অনেকটা অগোছালো ছিল।করিম চাচার সাথে সে প্রায়‌ই মাছ ধরতো।যখন চাচি মারা যায়, তখন চাচা খুব ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে প্রায়‌ই করিম চাচা অসুস্থ থাকতো , তখন থেকেই বিক্রম করিম চাচার নৌকা নিয়ে একা মাছ ধরে চাচার আর ওর খরচ চালায়।

মাছ বিকেলেই বাজারে নিয়ে যায় বিক্রি করতে।সে একা নয় অনেকেই মাছ বিক্রি করে,,,আর ঐ টাকা দিয়ে বাজার করে রাত করে বাড়ি ফেরে,, অধিকাংশ লোক। বিক্রম‌ও তার ব্যতিক্রম নয়।

সেদিন বাজারে অনেক দেরি হয়ে যায় বিক্রমের.. বাজার থেকে বাড়ি আসতে গেলে সবসময় এক দু জন হলেও রাস্তায় মানুষ থাকে । কিন্তু সেদিন রাস্তা একদম ফাঁকা।বিক্রম ভুতের ভয় তেমন পেতোনা,, তবুও কিছুটা ভয় করছিল ওর‌। অনেক সুনশান গ্রামের রাস্তা দিয়ে ও হাঁটছে। মাঝে মাঝে বাঁশঝাড়ে দু একটা পাখি ডানা ঝাপটে উড়ে ওকে বিচলিত করছে। মাঝরাস্তা পেরোলেই সামনে পড়ে শশান। শশানের কিছুটা দূরেই একটা পোড়াবাড়ি...

অনেকের মুখে লোনা যায় ঐ বাড়িতে নাকি ভুত থাকে, মনে সাহস নিয়ে ধীরে ধীরে পথ এগুচ্ছে বিক্রম ,হাতে বাজারের ব্যাগ।

তখনকার দিনে টর্স ছিল না।ছিল মাটির কুপি।ওর কাছে আলো বলতে কিছুই নেই,,,

বৃষ্টির দিন,,,তাই খালি পায়েই চলছে বিক্রম। মাঝে মাঝে কোলাব্যাঙের ডাক শোনা যায় দূর থেকে... 

শশানটা ও পেরিয়ে এসেছে। শশান আর পোড়াবাড়ির মাঝখানে ছোট একটু মাঠের মতো। মাঠের কাছে এসেই বিক্রম শুনতে পেল কাছেই কোন একটা মেয়ে কাঁদছে। ভালোভাবে শোনার জন্য বিক্ম দাড়িয়ে গেল। এবার আরো স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে ,কেউ একজন কাঁদছে।কান্নার আওয়াজটা ভেসে আসছে পোড়াবাড়ির ভিতর থেকে। বিক্রমের মনে কৌতুহল জন্মনিল।এত রাতে কে কাঁদবে,তাও একটু পোড়াবাড়ির মধ্যে।ও ভাবতে লাগলো কি করবে । হঠাৎ কান্নার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। বিক্রম ভাবলো হয়তো তার মানের ভুল।এই ভেবে ও কিছু পথ এগুতেই ঐ স্পষ্ট একটা মেয়ের চিৎকার শুনতে পেল। 

এবার ও আর দেরি করলো না,, তাড়াতাড়ি দৌড়ে পোড়াবাড়ির ভিতরে চলে গেল। 

গিয়ে দেখলো একটা মেয়ে অর্ধোলঙ্গ হয়ে পড়ে আছে ।তার হাত পা বাঁধা।দু তিনটা ছেলে ওর পাশেই বসে হুক্কা টানছে।মেয়েটাকে ও চিনতে পারলো

এযে গফুর শেখের মেয়ে রোজিনা। রোজিনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এই গ্রামের‌ই এক ছেলের সাথে। আড়াল থেকে দেখছিল বিক্রম।বুঝতে পারলো কেন এই মেয়েটাকে ওরা ধরে রেখেছে। কিছুদিন আগে  গফুর মিয়ার সাথে এই ছেলেগুলোর কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তাই বলে এত জগন্য কাজ করতে হবে ওদের!!

বিক্রম হাতে একটা লাঠি নিয়ে আড়াল থেকে দৌড়ে ওদের মধ্যে এসে গেল। ওরা এটার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না। ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে লাগলো ওদের। ছেলেগুলো দৌড়ে পালিয়ে গেল।

এবার ও মেয়েটার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিল। মেয়েটা কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। বিক্রম কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে বললো, চলো তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেই।

ওরা দুজন পোড়াবাড়ি থেকে বাইরে এল। কিন্তু বাইরে এসে যা দেখলো তার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না ওরা দুজন। বাইরে রোজিনা বাপ, দুই ভাই আরো গ্রামের কিছু মানুষ দাঁড়ানো আছে‌। রোজিনা দৌড়ে ওর বাবার পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো। মুহুর্তের মধ্যে দুটো ছেলে এসে বিক্রমকে আটকে ফেললো। রোজিনাকে টানতে টানতে ওর বড়ভাই বাড়ি নিয়ে গেল,আর বিক্রমকে নিয়ে গেল গ্রামের বড় বটগাছটার কাছে ‌। 

বিক্রম যত‌ই বলে ও নির্দোষ তত‌ই গ্রামবাসী ওর উপর ক্ষিপ্ত হয়। যে গ্রামবাসী ওর সাথে কখনো ঝাড়ি দিয়ে কথা বলেনি তারা আজ ওকে জুতাপেটা করতে লাগলো। সবাই যে যার মতো করে ওকে কথা শোনাতে লাগলো।এর মধ্যে মাতব্বর চলে এল।চলে এল করিম চাচা। করিম চাচা এসেই পায়ের জুতা খুলে বিক্রমকে মারতে লাগলো। প্রতিটি মানুষ ওর বিরুদ্ধে চলে গেল।গ্রামের মতবর সিদ্ধান্ত নিল ওকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম গুরানো হবে ,তবে এখন নয় কাল। কারন তখন অনেক রাত হয়ে গেছিল। ওকে ওখানে বেঁধে রেখেই ওরা সবাই চলে গেল। একা রয়ে গেল নির্দোষ বিক্রম।

গ্রামের প্রতিটি আনাচে কানাচে ওর সৃতি জড়িয়ে আছে। সবকথা মনে পড়তে লাগলো ওর। খুব কান্না পাচ্ছিল তখন।

এই গ্রামের মানুষের জন্য কত কিছুই না করেছে ও।সবার বিপদে আপদে পাশে থেকেছে। মনে পড়ে গেল জাহিদ শিকদারের কথা ছোট্ট মেয়েটা নদীতে পড়ে গিয়েছিল,, নিজের জীবন বিপন্ন করে বাঁচিয়েছিল সেদিন। মনে পড়ল কাজল মিয়ার ছেলে সোবহানের কথা,,,, একসাথে মাছ ধরতে গিয়েছিল। কুমিরের পেটেই চলে গিয়েছিল সোবহান কিন্তু নিজের জীবন বাজি রেখে কুমিরের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল সোবহানকে । সেই বাপ ছেলে কেউই আমার হয়ে কথা বললো না 😭 😭

চোখ দিয়ে অঝোরে বৃষ্টি হতে লাগলো। কি হতে চলেছে কাল😭

হঠাৎ একটা ছায়া চোখে পড়লো বিক্রমের।কালো, লম্বা একটা ছায়া।

একটা মেয়ে 😱কালো চুলগুলো এলোমেলো।অন্য কোন দিন হলে ভয়েই মরে যেতো বিক্রম। কিন্তু আজ ও ভয় পেতেও ভুলে গেছে।কালো ছায়ার সেই মেয়েটা ধীরে ধীরে ওর পানে আসছে।

হ্যাঁ দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছে একটা মেয়ে এদিকেই আসছে,,,

ও এটা তো সেই মেয়ে যার জন্য এমন হাল হলো বিক্রমের,,,,

ও একদম বিক্রমের সামনে এসে দাঁড়ালো।

রোজিনা: তুমি সবাইরে হাছা কতাডা ক‌ইয়া দিলেই তো হ‌ইত‌।

বিক্রম: এই গেরামের মানুষগুরা বড়‌ই অদ্ভুত রে রোজিনা ।কেউই আমার কথা বিশ্বাস করে নাই।

তারপর দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ। নিরবতা ভাঙলো রোজিনা।

রোজিনা: আমি তোমার বাঁধন খুইলা দেই, তুমি এই গেরাম ছাইরা অনেক দূরে কোথাও চ‌ইলা যাও।

বিক্রম: কিন্তু কোথায় যাবো আমি।এই গেরামেই বড়ো হ‌ইছি ,এই গেরামের বাইরে কোথাও কোনদিন যাইনাই।

কথা বলতে বলতে বিক্রমের বাঁধন খুলে দিল রোজিনা। বাঁধন খুলে আর দাঁড়ালো না। সোজা বাড়ির দিকে র‌ওনা দিল‌। ঠায় দাঁড়িয়ে রইল বাক্রম। গ্রামের পশ্চিম দিকে একটা মাঠ আছে,,,মাঠটা নদীর তীরে আবার জঙ্গলের ও অনেকটা কাছে ‌। ওখানে ছেলেরা গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়।  মাঠে যেতে শিকদার বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে হয় ‌। বিক্রম কিছু না ভেবেই মাঠের দিকে যেতে লাগল ‌।
 মাথায় সারা দুনিয়ার চিন্তা। কি হয়ে গেল হঠাৎ করে 😭।  শিকদার বাড়ির কাছে আসতেই শুনতে পেল জাহিদ শিকদার আর ওর বৌ কি যেন বলাবলি করছে।কি বলছে সেটা শোনার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই বিক্রমের। চলেই যাচ্ছিল হঠাৎ ওদের কথার মাঝে ওর নাম শুনলো ‌। বুঝতে পারলো ওরা ওকে নিয়ে ই কথা বলছে। থমকে গেল ও।

জাহিদ: আরে ঐ ছেলেরে আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল,যে ওর চরিত্রে দোষ আছে। মাইয়াডার জীবন শেষ করে দিল!